পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কার্যকর না করায় রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলছে।
আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন তিন বিভাগের পেট্রলপাম্প মালিক ও শ্রমিকরা। বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এই কর্মসূচির ফলে খুলনার খালিশপুর পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল ডিপো হতে কেউ তেল উত্তোলন করছেন না। সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্যাংকলরি। এদিকে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা।
গতকাল বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এমএ মোমিন দুলাল জানান, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংক-লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, পৌরসভার চাঁদা আদায় বন্ধ, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিলসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে মন্ত্রণালয়কে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।
২৬ নভেম্বর দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এবং পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন এই আলটিমেটাম দেন। কিন্তু জ্বালানি মন্ত্রণালয় দাবিগুলো মেনে না নেওয়ায় ১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব পাম্পে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এ সময় ডিপো থেকে তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে।